নাইন ইলেভেন উত্তর আন্তর্জাতিক রাজনীতির সংক্ষিপ্ত রূপরেখা
TK. 250 Original price was: TK. 250.TK. 200Current price is: TK. 200.
Categories: রাজনীতি ও রাজনীতিবিদ বিষয়ক প্রবন্ধ
Language:BANGLA
Publisher: মাওলা ব্রাদার্স
Country: বাংলাদেশ
ফ্ল্যাপে লিখা কথা
বর্তমান কালের আন্তর্জাতিক রাজনীতির কিছুসংখ্যক বাছাইকৃত গুরুত্বপূর্ণ ও বিচার্যবিষয়ক ঘটনা গ্রন্থখানিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাশ্চাত্যের প্রচারণা দ্বারা বিভ্রান্ত না হয়ে এবং গতানুগতিক পথ অনুসরণ না করে লেখকদ্বয় তাঁদের নিজেদের দীর্ঘকালীন শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার আলোকে নিজস্ব বিচার বুদ্ধি প্রয়োগ করে স্বাধীনভাবে মতামত ব্যক্ত করেছেন যা আশা করা যায় এদেশের অধিকাংশ পাঠিকা/পাঠকের মন:পূত হবে । গ্রন্থখানির প্রারম্ভেই নাইন ইলেভেন এর ঘটনাবলি সংঘটনের জন্য কারা দায়ী কিংবা কী উদ্দেশ্যসাধনের নিমিত্তে এটি ঘটানো হয়েছে সে বিষয়ে লেখকদ্বয়ের ভিন্নধর্মী বক্তব্য দেয় হয়েছে যা যৌক্তিকতার দিকে দিয়ে বিচার করলে বাস্তবসম্মত বলে মনে হয়। এর পরপরই ঐ ঘটনার দায়ভার আল-কায়েদা এবং বিশেষত এর নেতা ওসামা বিন লাদেনের উপর চাপিয়ে কীভাবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে প্রথম আফগানিস্তান ও পরে ইরাক আক্রমণ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নামক পরমশক্তিটি যে মধ্যপ্রাচ্য ও মধ্য এশিয়ার বিপুল পরিমাণ তেল ও গ্যাসের নিয়ন্ত্রণভার নিজেদের হাতে তুলে নেবার প্রয়াস পায় তা দেখানো হয়েছে। পরমশক্তিটির এ কাজের দোসর ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরা্লের উদ্দেশ্য কীভাবে পূরণ করে এবং ফিলিস্তিনিদের নীরব সম্মতিতে কীভাবে উৎখাত করা হয় এবং প্রায়শ তাদের উপর যে নিষ্পেশণ চালানো হয় তাও দেখানো হয়েছে। মূলত মার্কিন পরমশক্তিটি পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে করায়ত্ত করতে যেসকল কারসাজি করছে, যেমন পারমানবিকশক্তি অর্জন করলে ইরান দায়িত্বহীনতার পরিচয় দেবে , এবং তথাকথিত আরব বসন্তের নামে তাদের অপছন্দের শাসকদের ক্ষমতা থেকে হটিয়ে ,এমনকী পৃথিবী থেকে নিশ্চিহৃ করে দিতেও যে দ্বিধাকরে না, তা যৌক্তিকভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। তবে আশার কথা যে পুতিনের নেতৃত্বে পুনর্জাগরিত রাশিয়া ও ক্রমবর্ধমান শক্তির অধিকারী চীন সম্মিলিতভাবে মার্কিনি নেতৃত্বে পাশ্চাত্যের এ প্রচেষ্টা আর বেশিদিন চালিয়ে যেতে দিতে রাজি নয়, বরং এটা প্রতিহত করতে বদ্ধপরিকর এতে বিশ্বব্যাপী কিঞ্চিৎ স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলার অবকাশ পাওয়া যাবে বলে প্রতিভাত হচ্ছে। পরিশেষে তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নের ব্যাপারটিতে তাদের ক্রমাগত অনীহা এবং বিশ্বের নারীরাও পুরুষদের পাশাপাশি যথেষ্ট ভূমিকা পালন করলে তা যে সার্বিক ভাবে সকলের মঙ্গল বয়ে আনবে সেদিকে লেখকদ্বয় সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।