নতুন চর্যাপদ
TK. 1,500 Original price was: TK. 1,500.TK. 1,110Current price is: TK. 1,110.
Categories: চিরায়ত কাব্য
Author: সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ
Edition: 2nd Edition, 2019
No Of Page: 696
Language:BANGLA
Publisher: কথাপ্রকাশ
Country: বাংলাদেশ
শতবর্ষ আগে (১৯১৬) হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর চর্যাপদ-প্রকাশ আমূল বদলে দিয়েছিল বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাস। পাশাপাশি এসেছিল মৈথিলি, উড়িয়া ও অসমীয়া সাহিত্যের ইতিহাস পুনর্বিবেচনার প্রসঙ্গ। তিন দশক পরে রাহুল সাংকৃত্যায়ন তিব্বতে পাওয়া ২০টি চর্যা প্রকাশ করেন (১৯৫৪) এলাহাবাদ থেকে। পরের দশকে শশিভূষণ দাশগুপ্ত সন্ধান পান (১৯৬৩) আর এক গুচ্ছ চর্যার, যার ৯৮টি কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয় নব চর্যাপদ (১৯৮৮) গ্রন্থে। আশির দশকে জগন্নাথ উপাধ্যায় নেপাল থেকে সংগ্রহ করেন চর্যার তিনটি নতুন পুথি; যার থেকে ১৬৫টি গান বারাণসী থেকে দেবনাগরী অক্ষরে প্রকাশিত হয় চর্যাসংগ্রহ (২০১২) নামে। নেপাল-তিব্বত অঞ্চলে তন্দ্রচর্চা ও বজ্রযানী-আরাধনায় দীর্ঘকাল ধরে যে মন্ত্রগান ব্যবহার হয় তা চর্যারই অনুবৃত্তি। বর্তমান সংকলনে উপস্থাপিত ৩৩৫টি নতুন চর্যা সে-ধারারই অন্তর্গত। এতে সরহ, শবর, ডোম্বী, দারক, গোদারি, কাহ্ন, ভুসুকুর মতো পরিচিত চর্যাকারদের পদ রয়েছে। আবার শাস্ত্রীর সংকলনে পদ নেই এমন প্রাচীন চর্যাকার- জালন্ধরী নাগার্জ্জন, তিলোপা, নারোপা, লীলাবজ্র, অদ্বয়বজ্রের পদও স্থান পেয়েছে। এই তিন শতাধিক পদ আনুমানিক ১০০ কবির রচনা, যার ৮০ জন চিহ্নিত। বর্তমান সংকলনে নব-সংগৃহীত ৩৩৫টি পদের সঙ্গে রাহুলের ২০টি, শশিভূষণের ২১টি এবং জগন্নাথের ৩৭টি পদ পরিশিষ্টরূপে যুক্ত হয়েছে। অষ্টম থেকে বিশ শতকের মধ্যে রচিত এই চার শতাধিক চর্যা বাংলা সাহিত্যের নতুন উপকরণ। সংকলিত হওয়ার পূর্বে দীর্ঘকাল মুখে মুখে প্রচলিত থাকার সময়ে এর পাঠে পরিবর্তন সত্ত্বেও প্রাচীন ও মধ্যযুগের ভাষার রূপ হিসেবে এর গুরুত্ব অনন্য। আবার বৌদ্ধধর্ম, বিশেষত তন্ত্রযান, বজ্রযান ও বৌদ্ধ দেবদেবীর বিকাশ অধ্যয়নের ক্ষেত্রেও পদগুলো গুরুত্বপূর্ণ।