বাবা যখন ছোট
TK. 180 Original price was: TK. 180.TK. 150Current price is: TK. 150.
Categories: বয়স যখন ৮-১২: গল্প
Author: আলেক্সান্দার রাস্কিন, ননী ভৌমিক (অনুবাদক)
Edition: ৩য় সংস্করণ, ২০১৬
No Of Page: 99
Language:BANGLA
Publisher: বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র
Country: বাংলাদেশ
Description
“বাবা যখন ছোট” বইটির লেখকের কথা অংশ থেকে নেয়াঃ
এ বইয়ের জন্মকথাটা বলি শােনাে। আমার এক মেয়ে আছে সাশা। এখন অবিশ্যি দিব্যি বড়সড়াে হয়ে উঠেছে সে, নিজেই বলে, আমি যখন ছােট্ট ছিলাম…’ তা এই সাশা যখন ছিল একেবারেই ছােট্ট তখন ভারি ভুগত সে। কখনও ইনফ্লুয়েঞ্জা, কখনও টনসিলাইটিস। তার পর কানের ব্যথা। তােমাদের যদি কখনও কান কটকট রােগ হয়ে থাকে, তাহলে নিজেরাই বুঝবে সে কী যন্ত্রণা। আর যদি না হয়ে থাকে, তাহলে বুঝিয়ে বলা বৃথা, কেননা সে বােঝানাে অসম্ভব।
একবার সাশার কানের যন্ত্রণা খুব বাড়ল, সারা দিন-রাত সে কাঁদল, ঘুমােতে পারছিল না। আমার এত কষ্ট লাগছিল যে নিজেরই প্রায় কান্না এসে গিয়েছিল। নানারকম বই পড়ে শােনাচ্ছিলাম আমি, নয়ত মজার মজার গল্প বলছিলাম। বলছিলাম ছােটবেলায় কীরকম ছিলাম আমি, নতুন বল ছুড়ে দিয়েছিলাম মােটরগাড়ির নিচে। গল্পটা সাশার ভারি ভালাে লাগল। ভারি ভালাে লাগল যে তার বাবাও একদিন ছােট্ট ছিল, দুষ্টুমি করত, কথা শুনত না, শাস্তি পেত। কথাটা মনে ধরল তার। তার পর থেকে যেই কান কটকট করত অমনি সাশা ডাকত, বাবা, বাবা, শীগগির! কান কটকট করছে, বলােনা ছােটবেলায় তুমি কী করতে! আর ওকে যেসব কথা শুনিয়েছিলাম সেইগুলােই তােমরা এখন পড়বে। গল্পগুলাে একটু মজার, মেয়েটির রােগের যন্ত্রণা ভােলাতে হচ্ছিল তাে। তাছাড়া লােভ, বড়াই, ন্যাকামি জিনিসগুলাে যে কত খারাপ সেটাও মেয়েকে বােঝাতে চেয়েছিলাম বৈকি। তবে ভেবাে না যে আমি সারাজীবনই ছিলাম অমনি লােভী, ন্যাকা। খুঁজে খুঁজে শুধু খারাপ ঘটনাগুলােই বলেছি। আর নিজের জীবনে তেমন ঘটনা না পেলে, অন্য কোনও বাবার জীবন থেকে নিলেই-বা কে আটকায়। সবাই তাে একদিন ছােটই ছিল। মােটকথা, গল্পগুলাে বানানাে নয়, সবই সত্যি।
এখন সাশা বড় হয়েছে। ভােগে সে এখন কম, নিজে নিজেই বড় বড় মােটা মােটা বই পড়ে।
তবে মনে হল, একজনকার বাবা ছেলেবেলায় কী করত সেটা শুনতে অন্য ছেলেমেয়েদেরও ভালাে লাগতে পারে। এইটুকুই আমার বলবার কথা। তবে আরেকটি জিনিস আছে, সেটা বলতে চাই গােপনে। বইটি কিন্তু অসমাপ্ত। তার শেষটা আছে তােমাদের সকলের নিজের নিজের সংসারে। কেননা, প্রত্যেকেরই তাে বাবা আছে আর ছােটবেলায় তিনি কী করতেন সেটা সবাই শােনাতে পারেন। পারেন মা-ও। বলতে কি, আমি নিজেই সে গল্প শুনতে ভারি উৎসুক।
এ বইয়ের জন্মকথাটা বলি শােনাে। আমার এক মেয়ে আছে সাশা। এখন অবিশ্যি দিব্যি বড়সড়াে হয়ে উঠেছে সে, নিজেই বলে, আমি যখন ছােট্ট ছিলাম…’ তা এই সাশা যখন ছিল একেবারেই ছােট্ট তখন ভারি ভুগত সে। কখনও ইনফ্লুয়েঞ্জা, কখনও টনসিলাইটিস। তার পর কানের ব্যথা। তােমাদের যদি কখনও কান কটকট রােগ হয়ে থাকে, তাহলে নিজেরাই বুঝবে সে কী যন্ত্রণা। আর যদি না হয়ে থাকে, তাহলে বুঝিয়ে বলা বৃথা, কেননা সে বােঝানাে অসম্ভব।
একবার সাশার কানের যন্ত্রণা খুব বাড়ল, সারা দিন-রাত সে কাঁদল, ঘুমােতে পারছিল না। আমার এত কষ্ট লাগছিল যে নিজেরই প্রায় কান্না এসে গিয়েছিল। নানারকম বই পড়ে শােনাচ্ছিলাম আমি, নয়ত মজার মজার গল্প বলছিলাম। বলছিলাম ছােটবেলায় কীরকম ছিলাম আমি, নতুন বল ছুড়ে দিয়েছিলাম মােটরগাড়ির নিচে। গল্পটা সাশার ভারি ভালাে লাগল। ভারি ভালাে লাগল যে তার বাবাও একদিন ছােট্ট ছিল, দুষ্টুমি করত, কথা শুনত না, শাস্তি পেত। কথাটা মনে ধরল তার। তার পর থেকে যেই কান কটকট করত অমনি সাশা ডাকত, বাবা, বাবা, শীগগির! কান কটকট করছে, বলােনা ছােটবেলায় তুমি কী করতে! আর ওকে যেসব কথা শুনিয়েছিলাম সেইগুলােই তােমরা এখন পড়বে। গল্পগুলাে একটু মজার, মেয়েটির রােগের যন্ত্রণা ভােলাতে হচ্ছিল তাে। তাছাড়া লােভ, বড়াই, ন্যাকামি জিনিসগুলাে যে কত খারাপ সেটাও মেয়েকে বােঝাতে চেয়েছিলাম বৈকি। তবে ভেবাে না যে আমি সারাজীবনই ছিলাম অমনি লােভী, ন্যাকা। খুঁজে খুঁজে শুধু খারাপ ঘটনাগুলােই বলেছি। আর নিজের জীবনে তেমন ঘটনা না পেলে, অন্য কোনও বাবার জীবন থেকে নিলেই-বা কে আটকায়। সবাই তাে একদিন ছােটই ছিল। মােটকথা, গল্পগুলাে বানানাে নয়, সবই সত্যি।
এখন সাশা বড় হয়েছে। ভােগে সে এখন কম, নিজে নিজেই বড় বড় মােটা মােটা বই পড়ে।
তবে মনে হল, একজনকার বাবা ছেলেবেলায় কী করত সেটা শুনতে অন্য ছেলেমেয়েদেরও ভালাে লাগতে পারে। এইটুকুই আমার বলবার কথা। তবে আরেকটি জিনিস আছে, সেটা বলতে চাই গােপনে। বইটি কিন্তু অসমাপ্ত। তার শেষটা আছে তােমাদের সকলের নিজের নিজের সংসারে। কেননা, প্রত্যেকেরই তাে বাবা আছে আর ছােটবেলায় তিনি কী করতেন সেটা সবাই শােনাতে পারেন। পারেন মা-ও। বলতে কি, আমি নিজেই সে গল্প শুনতে ভারি উৎসুক।