Sale

শ্রেষ্ঠ শিল্প প্রবন্ধাবলী

Original price was: TK. 245.Current price is: TK. 200.

Description
কী সুন্দর এবং কী সুন্দর নয়-এ নিয়ে ভারি গোলমাল বাধে যে রচনা করছে এবং যারা রচনাটি দেখছে বা পড়ছে কিংবা শুনছে তাদের মধ্যে; কেননা সবারই মনে একটা করে সুন্দর-অসুন্দরের হিসাব ধরা রয়েছে, সবাই পেতে চায় নিজের হিসেবে যা সুন্দর তাকেই, কাজেই অন্যের রচনার সৌন্দর্যের হিসাবে সে নানা ভুল দেখে।
নিজের রচনাকে ইচ্ছা করে খারাপ করে দিতে কেউ চায় না, যথাসাধ্য সুন্দর করেই রচনা করতে চায় সবাই, কেউ পারে সুন্দর করতে; কেউ-বা পারে না। আমার হাতে বাঁশি দিলে বেসুরে বাজবেই, অকবি যে সে কবিতা লিখতে গেলে মুশকিলে পড়বেই। কচ্ছপ জলে বেশ সাঁতার দিত কিন্তু বাতাসে গা ভাসান দেওয়া তার পক্ষে একনিমেষও সম্ভব হয়নি, অথচ আকাশে ওড়ার মতো কবিতা-ছবি ইত্যাদি রচনার ঝোঁক তাবৎ মানুষের মধ্যেই রয়েছে। গান শুনে মনে হয়, বুঝি আমিও গাইতে পারি, মন মেতে ওঠে এমন যে ভুল হয়ে যায় সুরের পাখি বুকের খাঁচায় ধরা দেয়নি একবারেই।
বালক যখন সুরে-বেসুরে তালে-বেতালে মিলিয়ে নেচে-গেয়ে চলল তখন তার সব অক্ষমতা, সব দোষ ভুলিয়ে দিয়ে প্রকাশ পেল শিশুকন্ঠ এবং সুকুমার দেহের ভাষাটির অপূর্ব সৌন্দর্য, কিন্তু বড় হয়ে ছেলেমো করা তো সাজে না একেবারেই! তবেই দেখা যাচ্ছে, স্থান-কাল-পাত্র হিসেবে সুন্দর ও অসুন্দর এই ভেদ হচ্ছে নানা রচনার মধ্যে। হরিণ সে-বাঁশি শুনে ভোলে, সাপ সে-বাঁশি শুনে ফণা তুলে তেড়ে আসে, সাপ-খেলানো বাঁশি সাপের কানে সুন্দর সুর দিলে, মানুষের কানে হয়তো খানিক সেটা ভালো ঠেকল, তাই বলে বিয়ের রাতে শানাই উঠিয়ে নহবৎখানায় সাপুড়ে এনে বসিয়ে দেয় কেউ? অবশ্য রুচিভেদে গড়ের বাদ্যি, ঢাকের বাদ্যি বিয়ের রাতে এসে জোটে, ঘুমন্ত পাড়ার কানের শ্রবণশক্তি তেজস্কর পদার্থ দিয়ে জাগিয়ে দিয়ে কনসার্টের দলও অলিতে-গলিতে এসে আবির্ভত হয়:

Related Products