Sale

বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের ইতিাহস

Original price was: TK. 2,000.Current price is: TK. 1,490.

Description

বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাস অনেক সময় ১৯৭১ কেন্দ্রিক করে ফেলা হয়। কিন্তু এদেশের মানুষের মুক্তিসংগ্রামের ধারাটি দীর্ঘকালের স্মৃতিবাহী। বাঙালি বরাবরই স্বাধীনচেতা একটি জাতি। এ জাতির পূর্বপুরুষদের শরীরেও এ তেজ নিহিত ছিল। প্রাচীনকালে আর্যরা বাংলায় ঢুকতে পারেনি। মহাবীর আলেকজান্ডার বাঙালির শৌর্য-বীর্যের খবর জেনেছিলেন, তাই আর বাংলামুখী না হয়ে নিজদেশে ফিরে গিয়েছিলেন। আর বাংলার ইতিহাসে প্রাচীনকাল থেকেই শ্রেণি-সংগ্রামের একটি ধারা সততই বিদ্যমান ছিল। বিদ্রোহ ও বিক্ষোভ তাই বাঙালির সহজাত একটি বৈশিষ্ট্য, যা বছরের পর বছর ধরে চলে এসেছে। এ ধারাই ১৯৭১ সালে পরিপুষ্ট হয়েছে, যদিও বিদেশি শক্তির শাসন ও শোষণ দীর্ঘদিন ধরে বাংলার মানুষকে পিষ্ট করে রেখেছিল, তথাপি ইতিহাসের সূত্রগুলো বলে, বাঙালি কখনোই এসব মেনে নেয়নি। প্রাচীন আমলেই এদেশে আরব বণিক মুসলিমরা এসেছে, কিন্তু তাদের সঙ্গে এদেশীয়দের দ্বন্দ্ব-সংঘাত হয়নি। কারণ, আরবরা এসেছিল শুধু ধর্মপ্রচার করতে। রাষ্ট্রশাসন ও প্রশাসনে তারা আগ্রহ দেখায়নি। এর পরের মুসলিম শক্তি হিসেবে বাংলায় আগমন করে তুর্কিরা, কিন্তু তুর্কিদের শাসনে ধর্মপ্রচার ছিল না, ছিল শাসন ও ক্ষমতার লিপ্সা। অথচ আরব মুসলিমদের প্রভাব বাংলার সমাজে বৈপ্লবিক রূপান্তর ঘটায়, যা তুর্কি শাসনে ঘটেনি। মোগল, পাঠান এবং অন্যান্য মুসলিম শক্তিরও উত্থান ঘটেছিল উপমহাদেশে। যাদের মূল লক্ষ্য ছিল শাসনক্ষমতা। যদিও তারা এদেশের মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়েছিল, তথাপি ইসলাম প্রচারে তাদের বিশেষ ভূমিকা দেখা যায় না, বরং মোগল সম্রাট আকবর তো ছিলেন ইসলামবিরোধী শক্তির এক প্রতিনায়ক। আকবরের আমলেও বাংলায় বিদ্রোহ ও স্বাধীনচেতার ধারা অব্যাহত ছিল।

Related Products