সশস্ত্র বাহিনীতে গণহত্যা
TK. 400 Original price was: TK. 400.TK. 320Current price is: TK. 320.
By আনোয়ার কবির
Categories: ইতিহাস: সামরিক ও যুদ্ধ বিগ্রহ
Author: আনোয়ার কবির
Edition: ৩য় মুদ্রণ, ২০১৪
No Of Page: 216
Language:BANGLA
Publisher: সাহিত্য প্রকাশ
Country: বাংলাদেশ
“সশস্ত্র বাহিনীতে গণহত্যা” বইটির সম্পর্কে কিছু কথাঃ
১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে এক রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রাম অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয়েছিল বাংলাদেশ। এর মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কতক মহলের সহায়তায় জাতির জনকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল করে। সপরিবারে নিহত হন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ মুজিবুর রহমান। নৃশংসভাবে ক্ষমতা দখলের আড়াই মাস পরে বীর মুক্তিযােদ্ধা ব্রিগেডিয়ার খালেদ মােশাররফ বীর উত্তম-এর নেতৃত্বে সংঘটিত হয় পাল্টা অভ্যুত্থান। খালেদ মােশাররফের অভ্যুত্থানের তিন দিন পর বীর মুক্তিযােদ্ধা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহের বীর উত্তমের নেতৃত্বে সংঘটিত হয় সিপাহি অভ্যুত্থান। এসময়ে নিহত হন মুক্তিযােদ্ধা মেজর জেনারেল খালেদ মােশাররফ বীর উত্তম, কর্নেল হায়দার বীর উত্তম, কর্নেল নাজমুল হুদা বীর বিক্রমসহ কয়েকজন। মূলত ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বীর উত্তম। প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মােহাম্মদ সায়েমকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক করে নিজে সেনাপ্রধান ও উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করছিলেন তিনি। ৭ নভেম্বরের ঘটনার পরে ২৪ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয় কর্নেল তাহেরকে। দেশদ্রোহিতার অপরাধে অভিযুক্ত করা হয় তাঁকেসহ ৩৩ জনকে। ১৪ জুন কর্নেল ইউসুফ হায়দারকে প্রেসিডেন্ট করে গঠন করা হয় বিশেষ সামরিক আদালত। কোর্ট মার্শালের চেয়ারম্যান ইউসুফ হায়দার পরবর্তীকালে ১৯৮২ সালে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করে বেসামরিক চাকরি করেন। ৪ সেপ্টেম্বর ১৯৮৭ সালে ৫২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। | ২১ জুন কোর্ট মার্শাল কর্তৃপক্ষ কাজ শুরু করে। রায় ঘােষণা করা হয় ১৭ জুলাই বিকেল তিনটায়। রায়ে কর্নেল তাহেরকে মৃত্যুদণ্ডসহ অধিকাংশ অভিযুক্তকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং কয়েকজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
সশস্ত্র বাহিনীতে গণহত্যার আর কি কি ঘটনা ঘটেছিলো সেটা বিস্তারিত জানতে বইটি অবশ্যই পড়ুন।