তিস্তার মহাপ্লাবন : যমুনা নদীর সৃষ্টি
TK. 650 Original price was: TK. 650.TK. 480Current price is: TK. 480.
Categories: ভৌগলিক ইতিহাস
Author: মাহবুব সিদ্দিকী
Edition: 1st Published, 2021
No Of Page: 268
Language:BANGLA
Publisher: আগামী প্রকাশনী
Country: বাংলাদেশ
১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একনাগাড়ে দীর্ঘদিন অতিবর্ষণের ফলে এক মহাপ্লাবনের সৃষ্টি হয়। বিশাল জলরাশি তিস্তার ধারণক্ষমতা ছাপিয়ে তৎকালীন জলপাইগুড়ি এবং রংপুর অঞ্চলে এক মহাতাগুব ঘটায়। তিস্তা পূর্বতন খাত পরিত্যাগ করে নতুন পথ খুঁজে নেয় (বর্তমান পথটি) এবং বিপুল পরিমাণ জলরাশি ব্রহ্মপুত্রে ঢেলে দেয়। এরপর প্রাকৃতিক নানা প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে যমুনা নামে একটি নতুন প্রবাহ তৎকালীন বৃহত্তর রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিহ এবং ঢাকা জেলার শত শত মৌজা ভেঙে নিজ গর্ভে ধারণ করে এবং শেষ পর্যন্ত পদ্মার সঙ্গে একত্রিত হয়। যমুনা নদী সৃষ্টি হতে সময় নিয়েছে প্রায় ৩০ বছর। বাংলাদেশের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় এই ঘটনায় উত্তরাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলের নদীব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে গেছে। রদবদল হয়েছে ভূদৃশ্যেরও। প্রথমত, তিস্তার গতিপথ পালটানোর ফলে বুড়িতিস্তা, মরাতিস্তা, ঘাঘট এবং মানস এই নদ-নদীগুলো নির্জীব এবং স্রোতহীন অবস্থায় পৌঁছে গেছে। যমুনার আবির্ভাবে জনায়ী বা যমুনা, সলঙ্গী, দাওকোবা এই নদীগুলো চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। মানস আংশিক বিলুপ্ত হয়েছে। আত্রাই, করতোয়া, ইছামতী নদীগুলোর মোহনা যমুনা সৃষ্টির কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। নবসৃষ্ট যমুনার আবির্ভাবে কয়েকটি নতুন নদী বাংলার মানচিত্রে স্থান করে নিয়েছে। হুরাসাগর, ফুলজোড়, গড়াই, জলঙ্গী, কীর্তিনাশা, নয়াভাঙনী নদ-নদীগুলো বাংলার ভূদৃশ্যে নবতর সংযোজন।